79°F শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মেনু

"এই নির্বাচনই জীবনের শেষ সুযোগ": সিইসি নাসির উদ্দিন আহমেদ

Online Desk, Boston Bangla

প্রকাশ: ০৭ অক্টো ২০২৫ | নিউজটি দেখেছেন: ১৬
"এই নির্বাচনই জীবনের শেষ সুযোগ": সিইসি নাসির উদ্দিন আহমেদ

এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি নাসির উদ্দিন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। আমার একমাত্র লক্ষ্য— জাতিকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেওয়া।”

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, “দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ হিসেবে এবারের নির্বাচনকে দেখছি। আমি চাই, একটি নির্ভেজাল ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।”

নির্বাচনকে সফল করতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চান সিইসি

নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে সিইসি বলেন,

“আপনারা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন। কোথায় সমস্যা হয়, কোথায় ঘাটতি থেকে যায়— তা আপনারা ভালো জানেন। আপনাদের মতামত আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব।”

তিনি আরও জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের হাইব্রিড মডেল চালুর প্রস্তুতি চলছে, যাতে তারা ভোট দিতে পারেন অনলাইন সাপোর্টেড পদ্ধতিতে।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদে জনগণের আগ্রহ বেড়েছে। একসময় নারী ও পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ছিল প্রায় ৩০ লাখ, এখন সেটি অনেকটাই কমে এসেছে।”

প্রযুক্তি ও গুজব— দুই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর অপব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো, এবং তথ্য বিকৃতির মতো জটিল চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমরা এক বিশেষ ও সংকটময় সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি। আমি এখন ৭৩ বছর বয়সী— জীবনে ব্যক্তিগত কিছু চাওয়ার নেই। তাই এই নির্বাচনের সফল আয়োজনই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য।”

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন: নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাবেক যুগ্ম-সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহ আলম, মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমা প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন, এবং সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান