শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাহসী শহীদ ছাত্রনেতা নাজির উদ্দিন জেহাদ-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, শহীদ জেহাদ ছিলেন নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক অমর নাম। স্বাধীনতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের মুক্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া সেই তরুণের আত্মত্যাগই ছিল গণঅভ্যুত্থানের সূচনা, যার মধ্য দিয়ে পতন ঘটে স্বৈরশাসক এরশাদের।
তিনি আরও বলেন, এরশাদ শাসনামলে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল, মানুষ হারিয়েছিল মৌলিক অধিকার। সেই সময়ে জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে। আজও সেই আত্মত্যাগ আমাদের পথ দেখায়, প্রেরণা জোগায়।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু নির্বাচন নয়—মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও সমানভাবে জরুরি। তিনি আহ্বান জানান, “শহীদ জেহাদের ত্যাগের চেতনা বুকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে—স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে।”
বাণীর শেষে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন,
“আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
উল্লেখ্য, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই বাণী প্রকাশ করেন।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে